একটি ছেলের জীবন কাহিনী
💌💌💌💌
এলাকার যে ছেলেটি কখনো খারাপ কাজ বা নেশা করে নি,
আজকে সে এখন নাম কড়া নেশাখোর আর খারাপ কাজে লিপ্ত। যে ছেলেটি সিগারেটে থাকা নিকোটিনের ধোঁয়া সহ্য করতে পারতো না,
আজ সে সেই নিকোটিন তার চলার পথের সঙ্গী।
সে এখন প্রতি রাতেই ছাদের কোণে গিয়ে নিকোটিনের আগুনে নিজেকে পুড়তে বসে।
যে ছেলেটি কলেজ, বন্ধুদের সাথে আড্ডা মেরে সবাইকে মাতিয়ে রাখতো, আজ সে একদম চুপ।
কারো সাথে কোনো কথা বলে না সব সময় একা থাকে।
যে ছেলে অন্ধকার কে এবং কালো জিনিস অপছন্দ করতো,
আজ সে শপিং এ গেলে সবথেকে আগে কালো রঙটাকে চয়েজ করে আর প্রায় সময়টাই অন্ধকারের মধ্যে থাকতে চায়।
এভাবেই আমাদের সামনে ঘটে যাওয়া কর্মকাণ্ড গুলোর প্রতিক্রিয়া জানাই।
প্রতিক্রিয়া গুলো হয় সাধারনত এরকমঃ-
.
★ ছেলেটা ভালো ছিল, কিন্তু এখন রোজ সিগারেট খায়।
★ ছেলেটা একদম নষ্ট হয়ে গেছে, রোজ মারপিট আর নেশা করে।
★ এই ছেলে ছোট থেকে অনেক সম্মান করতো, কিন্তু এখন সামনে বসে সিগারেট ধরায়।
★ ছেলেটা খারাপ হবে কখনোই ভাবি নি।…. ইত্যাদি।
.
আমরা ভেবে থাকি এসব ছেলেগুলো এভাবে নষ্ট হওয়া আর বিগড়ে যাওয়ার
পিছনে খারাপ সঙ্গ সাথি একমাত্র দায়ী।
কিন্তু কখনো কি জানতে চেয়েছি বা চেয়েছেন তাদের এই খারাপ হওয়ার
পিছনের কারনটা। কিসের জন্য তারা এ পথে এসেছে…??
.
একটা ছেলে শুধু খারাপ সঙ্গ পেয়ে নেশার জগতে পা দেয় না।
আমাদের সমাজের প্রায় অর্ধেকের বেশি ছেলেরা নেশায় আসক্ত হয় প্রেম বিচ্ছেদে। আর অল্প কিছু ছেলেরা হয় পারিবারিক কারনে।
.
আচ্ছা কতটা কষ্ট পেয়ে একটা ছেলে তার চোখের জল ফেলে…!!
হ্যাঁ, আপনাকেই জিজ্ঞাসা করছি যিনি বা যে এই গল্পটাকে পড়ছেন।
কারন সে জানে সবার সামনে বসে কান্না করতে দেখলে তাকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টা, তামাশা করবে।
.
তাই সে নিরবে তার কষ্টটাকে বুকের মধ্যে লুকিয়ে রাখে। কারন ওখানে লুকিয়ে রাখলে কেউ দেখতে পাবে না, একমাত্র স্রষ্টা আর নিজে ছাড়া।
চিৎকার দিয়েও সে তখন কাঁদতে পারে না, যদি তার বারির কেউ কান্নার শব্দ শুনে যায়।
মাতিয়ে রাখতে পারতো। আজ হয়তো তার ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকে অবহেলা পেতে পেতে সে দিনদিন এতো বদলে গেছে বা যাচ্ছে।
.
আগের মত আর কারো সাথে মিশে না, মন মরা আর সবসময় একা থাকতে চায়।
কারন, সে জানে বন্ধুদের সাথে চলতে হলে তাকে হাসি-খুঁশি থাকতে হবে।
যদিও ক্ষেত্রবিশেষ চলতে হয় তখন তাকে মিথ্যের আশ্রয় নিয়ে জীবন কাটাতে হয়।
.
যখন একটা ছেলের জীবনে কোনো মেয়ে আসে, তখন তাকে নিয়েই জীবনটাকে রঙ্গিন করতে চায়।
সে ভাবতে থাকে এই কি সেই মেয়ে যে কোনো একসময় আমায় নিয়ে ভালোবাসার স্বপ্ন বুনতো।
.
আপনি যদি একটা ছেলের একদম কাছের বা ভালোবাসার মানুষ হয়ে তাকে কষ্ট দিতে চান বা তাকে কাঁদাতে চান।
তাহলে তাকে কোনো ভরা জনসম্মুখে এনে চড় মারুন, তাকে বেশি করে গালাগালি করুন বা তাকে অপমান করুন।
.
কিন্তু তাকে সামান্য পরিমান অবহেলা করুন, তার সাথে একটু কথা বলা কমিয়ে দিন,
খোঁজ-খবর নেয়া কিছুদিনের জন্য বাদ দিয়ে দিন বা তার সাথে কম যোগাযোগ করুন।
.
ছেলেরা অনেক কিছু সহ্য করতে পারে, কিন্তু কাছের মানুষদের অবহেলা সহ্য করতে পারে না।
.
ছাদে বসে নীল আকাশকে দেখতে থাকা ছেলেটিও কোনো একসময় রাতের আধারে ছাদের কোনো এক কোণে বসে তারা গুনে,
.
বাড়ির ছেলের কোনো একসময় পছন্দ ছিলো নীল আর লাল।
কিন্তু এখন তার পছন্দের রঙ বদলে গিয়েছে। সে এখন আর নীল আর লাল রঙের কিছু পড়ে না।
তাই আজ এসব বাদ দিয়ে তার একমাত্র পছন্দ রঙ হল কালো।
.
একটা ছেলে যে কখনো অন্ধকারে থাকতে পারতো না। সবসময় বন্ধুদের সাথে বাইরে ঘোরাঘুরি করতো।
.
একটা ছেলে কখনোই চায় না খারাপ হতে, কিন্তু আমাদের সমাজ, পরিবেশ আর পরিস্থিতি তাকে খারাপের দিকে টেনে নিয়ে যায়।
দশটা খারাপ ছেলের সাথে চলতে গিয়ে একটা ভালো ছেলেও কোনো একসময় খারাপ হয়ে যায়।
.
সবশেষে সেই সকল কাছের বা ভালোবাসার মানুষদের একটা কথাই বলবো যে, কোনো ছেলেকে ভালোবাসলে তাকে মন দিয়ে ভালোবাসবেন।
.
আর তাকে যদি আপনি নাই ভালোবাসেন তাহলে দয়া করে তার সাজানো সুন্দর ভবিষ্যতটাকে নষ্ট করে দিবেন না।
.
একটা ছেলে খারাপ হলে তার পরিবারের সদস্যরা বিশেষ করে মা আর বাবা বড্ড অসহায় হয়ে পড়ে।
⚘
ronymampi26@gmail.com